অলী-আল্লাহ কাকে বলে?
‘অলী-আল্লাহ’ শব্দের অর্থ আল্লাহর বন্ধু। যিনি গভীর সাধনার মাধ্যমে আপন অন্তরের কালিমা দূর করে অন্তরকে আল্লাহর নূর দ্বারা আলোকিত করতে সক্ষম হয়েছেন, নিজের ভিতরে আল্লাহর পরিচয় লাভ করে, তার চরিত্রে নিজেকে চরিত্রবান করতে সক্ষম হয়েছেন, তিনিই অলী-আল্লাহ বা আল্লাহর বন্ধুতে পরিণত হয়েছেন। এক কথায় অলী-আল্লাহর অন্তরে আল্লাহর সত্তা জাগ্রত অবস্থায় বিরাজ করেন। এজন্য তাঁকে দেখলে বা তাঁর সান্নিধ্যে আসলে আল্লাহর প্রতি অনুরাগ সৃষ্টি হয় এবং আল্লাহর স্মরণে আগ্রহ জন্মে।
পৃথিবীতে ৩ শ্রেণীর অলী-আল্লাহ বিদ্যমান। যথা- হাদী, মাজ্জুব ও দেশরক্ষক অলী-আল্লাহ।
যে সকল অলী-আল্লাহ নিজে সাধনা করে আল্লাহর পরিচয় লাভের পর অন্য লোককে এই পদ্ধতি শিক্ষা দানের জন্য আল্লাহ কর্তৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত হন, তিনি হাদী শ্রেণীর অন্তর্গত। তিনি সাধারণ মানুষের মুক্তির দিশারী এবং পাপ মোচনের উপলক্ষ্য। মাজ্জুব শব্দের অর্থ পাগল। যে সকল অলী-আল্লাহ আল্লাহর প্রেম সাগরে এমনভাবে ডুবে থাকেন যে, দুনিয়ার কোন বিষয়ের প্রতি তিনি আর ফিরে তাকান না , তিনি মাজ্জুব শ্রেণীর অন্তর্গত। মানুষের কাছে পাগল বলে গণ্য হলেও আল্লাহর কাছে তারা বন্ধুর মর্যাদা পেয়ে থাকেন। প্রকৃত পক্ষে এ শ্রেণীর অলী-আল্লাহ দিব্যদৃষ্টিতে আল্লাহর রূপ উপভোগ করে থাকেন এবং দুনিয়ার অন্য সকল কিছুর প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়েন।
দেশরক্ষক অলী-আল্লাহর কাজ অনেকটা দেশের সেনাবাহিনীর মত। যে সকল অলী-আল্লাহ আল্লাহর নির্দেশে সৃষ্টি জগত পরিচালনার বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়োজিত থাকেন, তাঁরা এই শ্রেণীর অন্তর্গত।
উল্লেখ্য যে, একমাত্র হাদী শ্রেণীর অলী-আল্লাহ ব্যতীত মাজ্জুব ও দেশ রক্ষক অলী-আল্লাহগণ সাধারণতঃ হেদায়তের কোন দায়িত্ব পালন করেন না। এজন্য মানুষকে আল্লাহ প্রাপ্তির সঠিক পথের সন্ধান পেতে হলে একমাত্র হাদী শ্রেণীর অলী-আল্লাহর নিকট যেতে হয়।
আপনার মতামত লিখুন :