সাধনা ছাড়া কিছুতেই সাধকের সিড়িতে পৌঁছা সম্ভব নয়, একমাত্র ধ্যান সাধনার মাধ্যমেই সম্ভব, জ্ঞানের দরজায় সজোরে আঘাত করা, আমাদের নবীজি হেরা। গুহায় একাধারে ১৫ বছর সাধনা করেছেন।
সাধনার প্রকারভেদ
সাধনা ৪ প্রকার। যথা:
১। জিকিরে লেছানী বা মৌখিক ইবাদত দ্বারা সাধনা।
২। জিকিরে ক্বলবী বা অন্তরের দ্বারা সাধনা, (গুরুত্ব সর্বাধিক)।
৩। জিকিরে আঈনী বা চোখের দ্বারা সাধনা, গুরুকে চোখে দর্শন মানে প্রভুর অপরূপ দর্শন।
৪। জিকিরে আনফাসী বা দমের দ্বারা সাধনা, মনকে বশ আনতে হয়, দমের মাধ্যমে, দম সাধনাই যোাগ সাধন।
তাই লালন সাঁই বলেন,
‘সময় গেলে সাধন হবে না।
দিন ধরে তিনের সাধন কেন করলি না
সময় গেলে সাধন হবে না।”
সাধক মুমিন বলেন,
“দিন গেলে আর দিন পাবে না ওরে ওবুঝ মন
সময় থাকতে কর রে মন মুর্শিদ নাম সাধন।
উল্লেখ্য যে, কোন সাধনাই হবে না, মুর্শিদের সহবত ছাড়া সাধনার মূল স্তম্বই হলো মুর্শিদের রুহানী তাওয়াজ্জুহ ও ফয়েজ নেওয়া, মুর্শিদের রুহানী সাহায্য থাকলেই সাধনার উচ্চ শিকড়ে অতিক্রম করা সম্ভব।
► লিখক : তরিকত ও তাছাউফ গবেষক, রেজভীয়া দরবার শরীফের খলিফা
► পীর গাজী হাবিবুর রহমান রেজভী সূফিবাদী।
► পীর সাহেব : রেজভীয়া হাবিবিয়া দরবার শরীফ, গোয়াতলা, কটিয়াদি, কিশোরগঞ্জ।
হুজুরের সাথে যোগাযোগঃ- 01715-261408
আপনার মতামত লিখুন :