দেওবন্দী দের মোজাদ্দেদ আশরাফ আলী থানবীর কিতাব (ইসলাহুর রুসুম) কিতাবের তৃতীয় অধ্যায় এর প্রথম পরিচ্ছেদ ১০১নং পৃষ্টায় লিখেছেন যে:- মিলাদ ৩ প্রকারে ভাগ করে, প্রথম প্রকার মিলাদ এর বিষয় বলেছেন যে;- এই প্রকার মিলাদ মাহফিলে কোনো প্রকার সর্তাবলী অনুসরণ করা হয় না।
মুলুত কিছু লোক একত্রিত হয়ে নবী কুল শিরোমনি আহমাদ মুস্তফা মোহাম্মদ মুস্তফা সল্লেল্লাহু আলাহিস সালাম এর প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ ও তিনার জন্ম, জীবন, চাল-চলন, সান, শওকাত, মুজেজা সমন্ধে বিশুদ্ধ বর্ণনা করা ও কোনো কিতাব পাঠ করা। আলোচনার সাপেক্ষে সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের না করার উপদেশ্দানে কুন্ঠিত বোধ না করা অথবা শরীয়াতের বিধিবিধান হুকুম আহকাম শিক্ষাদানের নিমিত্তে আয়োজিত মাহফিলে নবী পাক অলায়হিস সালাম এর জীবনী বর্ণনা করা।
এই প্রকার মিলাদ মাহফিল নির্ভেজাল, জায়েজ ও মুস্তাহাব ও সুন্নাত। এই ভাবেই রাসুল সল্লেল্লাহু আলাইহিস সালাম শিয় জীবন ও মর্যাদার আলোচনা করে গেছেন। সাহাবীদের থেকে ও এই ভাবে মিলাদ এর বর্ণনা পাওয়া যায়। মুহাদ্দিসীন কেরামগণ আজ পর্যন্ত যথারীতি চালু রেখেছেন আর আর কিয়ামত পর্যন্ত এই বিশুদ্ধ নীতি চালু থাকবে।
এখন আমার কথা হচ্ছে যে মাওলানা আশরাফ আলী থানবী দেওবিন্দী দের আজম মোজাদ্দেদ, হাকীমুল উম্মত এর কিতাবে মিলাদ সরিফ পালন করা কে নির্ভেজাল ,জায়েজ, মুস্তাহাব ও সুন্নাত বলে নিজের রায় দিলেন। আর আমার মতে আশরাফ আলী থানবীর তুলে ধরা সর্ত গুলো ও যথাযথ পালন করা হয় প্রতিটা মিলাদের অনুষ্ঠানে।
তো আমার কথা হচ্ছে আপনাদের বুজুর্গ আশরফ আলী থানবী সাহেবের মত উপেক্ষা করে কেন বেদাত বলে গলা ফাটান? আর সময় নষ্ট করেন? আর কেন নিজেদের আলেমদের এই ভাবে বিরুধিতা করেন? নাকি আপনারা দেওবন্দী নামের নিচে লুকায়িত দেওভুত? যে সুধু বেদাত বেদাত বেদাত বলে গেয়ে বেড়ান?
আপনারা যদি সত্যিকারের দেওবন্দের আকিদার বিশ্বাসী হন তাহলে আপনাদের উচিত মিলাদের বিরুদ্ধে কথা না বলা। কারণ আপনাদের বুজুর্গের চেয়ে আশাকরি আপনারা কেউ বেশি জানেন না। বাশের চেয়ে যেমন কঞ্চি সক্ত হয় না! তেমনি মুরুব্বিদের চেয়ে আপনারা বেশি জ্ঞানী না
► লিখক : তরিকত ও তাছাউফ গবেষক, রেজভীয়া দরবার শরীফের খলিফা
► পীর গাজী হাবিবুর রহমান রেজভী সূফিবাদী।
► পীর সাহেব : রেজভীয়া হাবিবিয়া দরবার শরীফ, গোয়াতলা, কটিয়াদি, কিশোরগঞ্জ।
☎ হুজুরের সাথে যোগাযোগঃ- 01715-261408
আপনার মতামত লিখুন :