গিয়ারভী শরীফ বা ১১ শরীফ


তরিকত ফাউন্ডেশন প্রকাশের সময় : আগস্ট ১৬, ২০২২, ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ /
গিয়ারভী শরীফ বা ১১ শরীফ

গিয়ারভী শরীফ মূলত খতম ও দোয়া বিশেষ। হযরত গাউছে পাক আবদুল কাদির জিলানী (রা:) এর ইন্তেকালের দিনকে কেন্দ্র করে প্রতি চাঁদের ১১ তারিখে রাতে বা দিনে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলেম ওলামা পীর মাশাইখন উক্ত গিয়ারভী শরীফ বিশেষ নিয়তে পালন করে থাকেন। হযরত গাউছুল আজম আব্দুল কাদির জিলানী (রাঃ) কিভাবে এই গিয়ারভী শরীফ পেলেন, সে সম্পর্কে মিলাদে শায়েখে বরহক বা ফাজায়েলে গাউছিয়া নামক কিতাবে বর্ণিত আছে- 

হযরত গাউছুল আজম আব্দুল কাদির জিলনী (রাঃ) (৪৭১-৫৬১ হিজরী) নবী করিম বা এর বেলাদত বা শুভ আগমন উপলক্ষে প্রতি বৎসর ১২ই রবিউল আওয়াল তারিখটি নিয়মিতভাবে ভক্তি সহকারে পালন করতেন। একদিন স্বপ্নে মধ্যে নবী করিম ( গাউছে পাককে বললেন- আমার আগমণ ১২ই রবিউল আওয়াল তারিখকে তুমি যেভাবে সম্মান প্রদর্শন করে আসছে এর বিনিময়ে আমি তোমাকে আম্বিয়া কেরামের গিয়ারভী শরীফ দান করলাম। 

-মিলাদে শায়খে বারহক

 

হযরত গাউছুল আজম আব্দুল কাদির জিলানী (রাঃ) এর তরিকাভুক্ত পীর মাশায়েখগন ও অন্যান্য তরিকার মাশায়েখগণ ও পাউছে পাকের অনুসরণে প্রতি চাঁদের ১১ তারিখ রাতে বা দিনে বিশেষ নিয়মে গেয়ারভী শরীফ পালন করে থাকেন এবং কিয়ামত পর্যন্তু ইহা চালু থাকবে! ইনশাআল্লাহ। 

 

গিয়ারভী শরীফের ফজিলত:

ফাজায়েলে গাউছিয়া বা মিলাদে শায়েখে বাহক কিতাবে উল্লেখ আছে – 

  • যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে প্রতি চাঁদের ১১ তারিখে গেয়ারভী শরীফ পালন করবে, সে ব্যক্তি অল্প দিনের মধ্যে ধনবান ও স্বচ্ছল হবে এবং তার গরীবি হালত দূর হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি ইহাকে অস্বীকার করবে, সে দারিদ্রের মধ্যে থাকবে।
  • যেখানে গিয়ারভী শরীফ পালন হয়, সেখানে খোদার রহমত নাযিল হয়। কেননা, হাদীস শরীফে আছে, “ভাজ্জালুর রহমাতু ইন্দা যিকরিছ ছালেহীন অর্থাৎ আউলিয়াগণের আলােচনার মজলিশে খোদার রহমত নাযিল হয়ে থাকে।
  • যে ব্যক্তি এই গিয়ারভী শরীফ পালন করবে, সে খায়ের ও বরকত হাসিল করবে।
  • যে ব্যক্তি নিয়মিতভাবে গিয়ারভী শরীফ পালন করবে, সে বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাবে। দুঃখ ও চিন্তুা মুক্ত হবে এবং সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করবে।