১। হযরত গাউছে পাক আব্দুল কাদির জিলানী (রাঃ) এর মতে জমিনের এক মুহুর্তের জন্য আল্লাহর স্মরণ থেকে বিরুপ হওয়া বেয়াদবীর শামিল। আল্লাহ তয়ালা যখন ইচ্ছা করেন তখনই বান্দার কলবে জ্ঞান দান করেন। বই পুস্তক পড়ে বা শুনে এই জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়। আর এই কলবের জ্ঞানকেই তাছাউফ বা মারেফতের জ্ঞান বলে।
২। হযরত মারুফ কারখী (রহ.) বলেন, তাছাউফ হচ্ছে আল্লাহর সত্বার উপলব্ধি ।
৩। বিশর হাফী (রহ.) বলেন, আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করাকে তাছাউফ বলে।
৪। যরত যুননুন মিসরী (রহ.) বলেন, আল্লাহ ছাড়া সবকিছু বর্জন করাকেই তাছাউফ বলে।
৫। যরত যুনায়েদ বাগদাদী (রহ.) বলেন, তাছাউফ হচ্ছে পবিত্রতার জন্য মনোনীত হওয়া এবং অন্তর থেকে দুনিয়অর মোহ ত্যাগ করা।
৬। হযরত আবুল হুসাইন আল নূরী (রহ.) বলেন, ইদ্রিজ আত্মার কু-প্রবৃত্তির বিসর্জনই তাছাউফ।
৭। হযরত বায়জিদ মোস্তামী (রহ.) বলেন, আরাম আয়েশ ত্যাগ করা। এবং আল্লাহকে পাওয়ার উদ্দেশ্যে দুঃখ কস্ট বরণ করাই পকৃত তাছাউফ
৮। ইমাম গাজ্জালী (রহ.) বলেন, আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা করে সর্ব প্রকার বাতিল ধ্যান ধারণা হতে মনকে মুক্ত রাখা ও নিষ্ঠার সাথে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর প্রেম অর্জন করাকেই তাছাউফ বলে।
আপনার মতামত লিখুন :